ঘরবন্দী জীবনে সুস্থ রয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি : নতুন দায়িত্ব পেয়ে গর্বিত বলে মতপ্রকাশ

28th July 2020 7:35 pm বর্ধমান
ঘরবন্দী জীবনে সুস্থ  রয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি : নতুন দায়িত্ব পেয়ে গর্বিত বলে মতপ্রকাশ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরেই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু । প্রথমে তাঁর দেহরক্ষীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে । তারপর তিনি ও পরীক্ষা করান । পরবর্তী সময়ে তাঁর নিজের রিপোর্ট পজিটিভ আসে । চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই ঘরবন্দী জীবন কাটাচ্ছেন সহ সভাধিপতি । ফোনের মাধ‍্যমে ই যোগাযোগ রেখেছেন সকলের সাথে । খোঁজ খবর নিচ্ছেন সকলেই । এই মুহূর্তে সুস্থ রয়েছেন । শারীরিক কোনো সমস‍্যা নেই । চিকিৎসকরা সাতদিন ঘরবন্দী থাকার পরামর্শ দিলেও তিনি নিজে ১৪ দিন ঘরবন্দী থাকতে চান বলে জানিয়েছেন । পরামর্শ মেনেই সমস্ত কাজ করছেন তিনি । তাঁকে কোনো ঔষধ ও দেননি চিকিৎসকরা । তাতে কোনো সমস‍্যাই নেই । গরম জলের ব‍্যবহার সহ আর যে সব পরামর্শ দিয়েছেন তা মেনেই চলছেন তিনি ।  এমনটাই জানিয়েছেন সহ সভাধিপতি দেবু টুডু । গত ২৬ শে জুলাই তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে । সেদিন থেকেই হোম আইসোলেশনে আছেন তিনি । এই পরিস্থিতির মধ‍্যে রাজ‍্য নেতৃত্ব নতুন দায়িত্ব দিয়েছে তাকে । রাজ‍্যের ২২ জনের মুখপাত্রকে মনোনীত করা হয়েছে । সেই তালিকাতেও রয়েছেন সহ সভাধিপতি দেবু টুডু । খবর শুনেই তাঁর প্রতিক্রিয়া ' আমি গর্বিত এই দায়িত্ব পেয়ে । ' কংগ্ৰেসের আমলে প্রদীপ ভট্টাচার্য হয়েছিলেন মুখপাত্র । সেই জায়গায় গোটা রাজ‍্যের দায়িত্ব ভার দলনেত্রী তার উপরেও যে দিয়েছেন তার জন‍্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন । একজন গ্ৰামের ছেলেকে যে পর্যায়ে তুলে নিয়ে গেছেন দলনেত্রী তার জন‍্য দলনেত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এর প্রতি বারবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সহ সভাধিপতি । আদিবাসীদের মধ‍্যে দলের প্রচার সহ রাজ‍্যের জেলায় জেলায় দল যা নির্দেশ দেবে সেই অনুসারেই কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন সহ সভাধিপতি । মূলত রাজ‍্য জুড়ে জেলায় জেলায় সরকারী প্রকল্পের প্রচার , দলের কাজ পৌঁছে দেওয়া সর্বস্তরে  , দলের কথা প্রচার মাধ‍্যমের সামনে তুলে ধরা সহ দলের নির্দেশ মত কাজ করবেন মুখপাত্র হিসাবে । 
রাজ্য স্তরে ২২ জন মুখপাত্রের নাম - 
অরূপ চক্রবর্তী, বিজয় উপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ দেব, ব্রাত্য বসু, সমীর চক্রবর্তী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দেবাংশু ভট্টাচার্য, দেবু টুডু, দীনেশ বাজাজ, কুণাল ঘোষ, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, নির্বেদ রায়, নুসরত জাহান রূহি, ওমপ্রকাশ মিশ্র, পার্থ ভৌমিক, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেন, শিলভদ্র দত্ত, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুদীপ রাহা, সুপ্রিয় চন্দ ও তাপস রায়। 

জাতীয় স্তরে ১২ জন মুখপাত্রের নাম ঘোষণা করা হয়েছে । এঁরা হলেন-- অমিত মিত্র, ডেরেক ও'ব্রায়েন, দীনেশ ত্রিবেদী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মণীশ গুপ্ত , নাদিম উল হক, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শশী পাঁজা, সৌগত রায়, সুগত বসু, সুখেন্দুশেখর রায় ও বিবেক গুপ্ত।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।